ফের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

ফের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এই মন্ত্রিপরিষদেও ফের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী হলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এর আগেও তিনি একই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) রাতে মন্ত্রিপরিষদ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। গতকাল বুধবার কে কে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী হচ্ছেন এই ঘোষণা এলেও কে কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাচ্ছেন তা জানা যায়নি সেসময়। তবে আজ সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিচ্ছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত নতুন মন্ত্রিসভার ২৫ জন মন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রীকে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

৩৬ জনের তালিকা সম্বলিত প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, বাংলাদেশের সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদের ২ দফা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) নিম্নলিখিত ব্যক্তিবর্গকে বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী পদে নিয়োগদান করেছেন।

বুধবার বিকেলে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে নতুন সরকার গঠনের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানান।

এদিন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন সংসদ সদস্য শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। একই সঙ্গে তার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য সম্মতি জ্ঞাপন করেন তিনি।

বুধবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন নতুন মন্ত্রিসভার মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের নাম ঘোষণা করেন। তিনি জানান, মন্ত্রী হচ্ছেন ২৫ জন আর ১১ জন হচ্ছেন প্রতিমন্ত্রী।

এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত নতুন মন্ত্রিসভার ২৫ জন মন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রীকে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। বৃহস্পতিবার বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৯টি আসনের মধ্যে ২২২টিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। একাদশ সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টিকে পেছনে ফেলে স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ৬২ জন; যাদের মধ্যে ৫৯ জন আওয়ামী লীগেরই নেতা। আর জাতীয় পার্টির আসন অর্ধেকের বেশি কমে নেমেছে ১১টিতে। দুটিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগের শরিক দল জাসদ ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি এবং একটিতে জয় পেয়েছে কল্যাণ পার্টি। একটি আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত রয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন